কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে এমবি স্বপ্নতরী জাহাজের উদ্বোধন

আবু সায়েম, কক্সবাজার :

এমবি স্বপ্নতরী জাহাজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘীরে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘স্বপ্নতরী জাহাজ ’। যেটি কক্সবাজারে আগত পর্যটকসহ ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে দিবে সমুদ্র, পাহাড়, নদী ও কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ।

২ ফেব্রুয়ারী ( শুক্রবার) বিকেল ৫ টায় বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের আরও একটি নতুন দ্বারের উন্মোচন হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার – ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার,জাসদের সভাপতি নাঈমুল হক চৌধুরী টুটুল , বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী,প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক ও প্রকাশক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল, টিআই ( এডমিন) আমজাদ হোসাইন, টুরিস্ট পুলিশের ওসি গাজী মিজানুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি, স্থানীয় সমাজ কমিটির সভাপতি ও পৌর আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম উল্লাহ সেলিম,  হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন ও ট্যুর অপারেটর অনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রথমবারের মতো কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে নামানো হয়েছে  হাউসবোটের আদলে তৈরি করা সি ভেসেল। যার নাম দেওয়া হয়েছে এমবি স্বপ্নতরী ( সী -২১৪৪)।

ফারহান এক্সপ্রেস এন্ড ট্যুরিজমের স্বত্বাধিকারী ও স্বপ্নতরী জাহাজের মালিক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কাঠের তৈরি জাহাজটির ধারণ ক্ষমতা ১৪৬ জন। এটি প্রতিদিন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সমুদ্র যাত্রা দেবে। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নুনিয়ারছড়া ঘাট হয়ে যাত্রা দিয়ে মহেশখালীর সোনাদিয়া, শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরে আসবে। আর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত র্বাকখালী নদীর কস্তুুরা ঘাট নতুন ব্রিজ পার হয়ে আবার নাজিরারটেক নতুন এয়ারপোর্ট রানওয়ে হয়ে মহেশখালীর আশে-পাশে ঘুরে ঘাটে ফিরবে।

তিনি আরো বলেন,হাউসবোটটিতে রাত্রি যাপন করতে পারবেন না পর্যটকরা। দেশী বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয়রা কম খরচে জন্মদিন পার্টি, গায়ে হলুূদ অনুষ্ঠান,বুফে ডিনার, দুপুরের খাবার, সেমিনার, পিকনিক, ইফতার মাহফিল, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। দ্বিতল এই বোটের নিচতলায় রয়েছে দুটি কেবিন। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে রেস্টুরেন্ট। হাউসবোটে চড়ে সমুদ্রে পর্যটকরা দুপুর বা রাতের খাবার সেরে নিতে পারবেন অনায়াসে।

বোট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় উপকরণ কাঠ ও বাঁশ। স্থানীয় ও সচেতন মানুষ ও উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে হাউসবোট কেন্দ্রিক পর্যটক বিকাশের সম্ভাবনা দেখছেন পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।